সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:::
মহা ধুমধামে শুরু হতে যাচ্ছে প্রতিবারের ন্যায় শারদীয় দূর্গোৎসব। এবার ৫টি ইউনিয়নের ২০টি পূজা মন্ডপে এ উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। যেন পাড়া-মহল্লায় সাজ সাজ রব বয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রতীমা তৈরির কাজও শেষ প্রান্তে শুধু বাকী রংতুলির আঁচড়ের কাজ।
জানা যায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে ২০টি পূজা মন্ডপে মৃৎ শিল্পীরা তাদের নিপূণ হাতে তৈরি করছে তাদের মা দূর্গাকে। এর পাশাপাশি পূজামন্ডপ ও মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তার জন্য নেওয়া হচ্ছে প্রস্তুতিও।
২৪ সেপ্টেম্বর সকালে সরেজমিন ঈদগাঁও পালপাড়া ও কেন্দ্রীয় কালি মন্দির ঘুরে দেখা যায়, চলছে প্রতীমা তৈরির কাজসহ বাহিরের সাজ সজ্জার কাজও। পাশাপাশি প্যান্ডেল, বিশালাকার তোরণসহ আনুষাঙ্গিক ইত্যাদি কাজকর্মে মহাব্যস্ততায় দিন পার করছে শ্রমিকরা। এমনকি মা দূর্গার প্রতীমা বানানোর কাজও প্রায় শেষের দিকে। আবার অনেক মন্ডপের সামনে বিশালাকার তোরণ নির্মাণ করে পূজারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টাও চালাচ্ছে। তন্মধ্যে এবার ঈদগাঁওতে ৫টি, ইসলামাবাদে ৮টি, জালালাবাদে ৩টি, চৌফলদন্ডীতে ৩টি ও ভারুয়াখালীতে ১টি পূজা মন্ডপে আগামী ৬ অক্টোবর থেকে ঝাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে শারদীয়া দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান কক্সবাজার সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সঞ্জিত দাশ। অন্যদিকে ঈদগাঁও পালপাড়া প্রগতী সংঘ কর্তৃক আয়োজিত প্রতিবারের ন্যায় এবারও বৃহৎ আকারে পূজা মন্ডপে সাজ সজ্জা ও প্রতীমা তৈরির কাজ চলছে। পর্যটন শহর কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম বিভাগ পেরিয়ে এবার সুদুর পিরোজপুর থেকে অর্ধলক্ষাধিক টাকা বেতনে প্রতীমা তৈরির জন্য ২জন কারিগর এসেছে। তারা বেশ ক’দিন ধরে এ প্রতীমা তৈরির কাজে মহা ব্যস্ত সময় পার করছে বলে জানান প্রগতী সংঘ দূর্গাপূজার উপদেষ্টা বাচ্ছু পাল।
তিনি আরো জানান, তাদের এ মন্ডপটি এবার জেলাতে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় স্থান দখল করবে বলেও জানান। অপরদিকে ঈদগাঁও বাজার সংলগ্ন কেন্দ্রীয় কালিবাড়িতে এবার বিশালাকার তোরণ নির্মাণের কাজ চলছে। যার খরচ ১ লক্ষাধিক টাকা বলে জানিয়েছে বাবুল ডেকোরেশনের স্বত্ত্বাধিকারী সাবেক এমইউপি বাবুল কান্তি দে। এদিকে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের এমইউপি প্রদোষ পাল মুন্না ,ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের পালপাড়া অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যাতে করে বেশ কিছুদিনের মধ্যে কমপক্ষে ১০-১২টি টমটমসহ বিভিন্ন যানবাহন দূর্ঘটনার শিকার হয়। পাশাপাশি দূর্গোৎসবে পূজারীরা পূজামন্ডপে যাতায়াত করতে হিমশিম খাবে বলেও জানান। তিনি অতিসত্ত্বর এ সড়কটি সংস্কারের জোর দাবী জানান উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট।
পাঠকের মতামত: